১৮ ডিসে, ২০০৭

ফিরে দেখা: সঞ্জীব চৌধুরী

সঞ্জীব চৌধুরী- আমাদের সঞ্জীব-দা'র কিছু ভিডিও ক্লিপ আমার হাতে এসেছিল। সবই মুলতঃ বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের খণ্ডাংশ। এর মাঝে কিছু ছিল সঞ্জীব-দা'র অভিনীত সম্ভবত: একমাত্র নাটকের অংশবিশেষ। সেসব দিয়েই "ইন মেমোরি অব সঞ্জীব চৌধুরী" শিরোনামে ইউটিউবে ছোট ছোট ৮ পর্বের একটি ভিডিও সিরিজ আপলোড করেছি। তারই একটি এখানে সংযুক্ত করে দিলাম:

১১ মে, ২০০৭

ছোটদের সহজ ক্রিকেট অধিনায়কত্ব শিক্ষা


ছোটদের সহজ ক্রিকেট অধিনায়কত্ব শিক্ষা

প্রনেতাঃ জনৈক অভিজ্ঞ অধিনায়ক
উৎসর্গঃ হাবিবুল বাশার


ছোট্ট বন্ধুরা, আজ আমি তোমাদের ক্রিকেট খেলার অধিনায়কত্ব করার সহজ নিয়ম শিখাবো। ক্রিকেট খেলা একটি মজার বিষয়। ক্রিকেট খেলায় অধিনায়কত্ব করা তো আরো মজার। তবে তার জন্য কিছু নিয়ম মুখস্ত করতে হয়। এসব নিয়ম মুখস্ত করে নিলে তোমারা যে কেউই ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হতে পারবে।

ভালো ভাবে বোলিং পরিবর্তন করতে হলে তোমাকে একটা তালিকা মুখস্ত করতে হবে। খেলার আগের রাত্রেই কে কোন ওভার বল করবে তার একটা তালিকা বানিয়ে যথাসম্ভব ভালো করে মুখস্থ করে নিবে। এই তালিকা মুখস্থ থাকলে খেলা চলাকালীন বোলিং পরিবর্তন খুব সহজ হয়ে যাবে।

৫০ ওভারের বোলিং তালিকা তো অনেক বড়সেটার কিছু অংশ খেলার সময় তুমি ভুলে যেতেই পারো। তালিকার কোন অংশ হঠাৎ ভুলে গেলে একদমই ঘাবড়ে যাবে না। যদি তালিকার কোন অংশ মনে না থাকে, তবে সেই ভুলে যাওয়া অংশে ৬ষ্ঠ বোলার ব্যবহার করবে। কোন অবস্থাতেই ভুলে যাওয়া অংশে নিয়মিত বোলার ব্যবহার করে নির্ধারিত তালিকা গড়বড় করে ফেলবে না।

রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং-এর একটা চার্ট বানিয়ে তা খুবই ভালো করে মুখস্থ করে রাখবে। এটা একবার ভালো করে মুখস্থ হয়ে গেলে ফিল্ডিং সেট-আপ নিয়ে সারাজীবনে আর কোন ঝামেলা থাকবে না। যে কোন খেলা এই একই ফিল্ডিং চার্ট ব্যবহার করে চালিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।

যদি আক্রমনাত্মক ফিল্ডিং সাজানোর ইচ্ছে হয়, তবে ফিল্ডিং-এর চার্টটাকেই বজায় রেখে সব ফিল্ডারদের ২-পা করে এগিয়ে এসে দাঁড়াতে বলবে। যদি অতি আক্রমনাত্মক ফিল্ডিং সাজানোর ইচ্ছে হয়, সেক্ষেত্রে সব ফিল্ডারদের অরিজিনাল ফিল্ডিং চার্টের অবস্থান থেকে ৪-পা ভেতরে এনে দাঁড় করাবে। তবে আক্রমনাত্মক ফিল্ডিং সাজানোর এই শখ যত পরিহার করে চলা যায় ততই মঙ্গল। মনে রাখবে, ডিফেন্স ইজ দ্যা বেস্ট অফেন্স

আজকাল ক্রিকেটবিজ্ঞ ব্যক্তিরা সবাই বলে, খেলার সময় মানসিক চাপে না ভুগে ক্রিকেট খেলাটাকে তুমি যত বেশী উপভোগ করবে, তোমার নিজের খেলাও তত ভালো হবে। অধিনায়কত্বের ব্যাপারেও এই এক-ই কথা প্রযোজ্য। খেলার পরিস্থিতি-ফরিস্থিতি এসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা উপভোগ করে যাবে। বাকি সব কাজ সামাল দেয়ার জন্য ওভার প্রতি বোলার তালিকা এবং ফিল্ডিং সেট-আপ চার্ট তো হাতে থাকছেই।

মাঠে ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখা অধিনায়কের অবশ্য কর্তব্য। মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের কাছে গিয়ে তাদের বোনের বিয়ে, বড় ভাইয়ের চাকরি-বাকরি, ছোটভাইয়ের পড়াশোনা ইত্যাদি বিষয়ে সর্বদা কুশলাদি জিজ্ঞাসা করবে। মাঠে খেলা চলাকালীন সময়ে পালা করে সব খেলোয়াড়কে কাঁধে হাত রেখে স্নেহের সুরে এই তুই পানি খাবি রে? , এই তুই বাথরুমে যাবি রে? ইত্যাদি সৌজন্যতা অবশ্যই দেখাবে। এছাড়া একজন বোলার টানা ৩ ওভার বল করার পর তাঁর কাছে গিয়ে কাঁধে হাত রেখে বেশ, বেশ জাতীয় উদ্দীপনামুলক কথাবার্তা বলবে।

আক্রমনাত্মক মানসিকতা কেবল শত্রুতাই তৈরী করে। গান্ধীজীর মতো অহিংস নীতি পালন করে দল পরিচালনা করবে। ব্যাটসম্যানের ইনিংসের হায়াতের মালিক আল্লাহতায়ালা। কে কখন আঊট হবে তা খোদা তায়ালাই জানেন। তাই আক্রমনাত্মক মানসিকতায় দল পরিচালনা করে অহেতুক শত্রু বাড়িয়ে ফায়দা কি? মনে রাখবে, বিশাল বটবৃক্ষ ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে, কিন্তু শত ঝড়েও লতা গাছের কিছু হয়না। তাই লতা গাছের মত কোমল অধিনায়ক হবেপ্রতিপক্ষ খেলার মাঠে যতই ঝড় তুলুক, তাতে তোমার কিছুই আসে যাবে না।

পরিশেষে বলতে চাই, প্রতিপক্ষের ভালো ব্যাটসম্যান ও বোলারদের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা দেখাবে। তুমি নিজে যত ভালো ব্যাটিংই পারো না কেন, একজন ভালো বোলার কোন না কোন ভাবে তোমার উইকেট নিয়ে নিবেই। সুতরাং, উইকেট হারাবার আগে তাড়াতাড়ি ২/৩ টা বাউন্ডারী মেরে যে কয়টা রান তোলা যায়-সেটাই ফায়দা। একইভাবে, তুমি যে ভাবেই ফিল্ডিং সাজাও না কেন, একজন ভালো ব্যাটসম্যান রান করবেই। সুতরাং বাউন্ডারী ঠেকিয়ে তার রান তোলার গতি যত কমনো যায় ততই মঙ্গল। মনে রাখবে, একজন ভালো ব্যাটসম্যান যদি লেংড়াতে লেংড়াতেও মাঠে আসে- সে কিন্তু সবসময় একই রকম বিপদজ্জনক। লেংড়া হোক বা খোড়া হোক, ফিজিক্যাল কন্ডিশন ইজ টেম্পোরারী, বাট ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট।


পাঠক প্রতিক্রিয়া
নামঃ আনিজা খাতুন, পেশাঃ ভিক্ষাবৃত্তি, এলাকাঃ ফার্মগেট



হালার ব্যাটায় এডা লেখছে কি? হে তো ছোড পোলাপানের মাথাডা খাইবো। এমুন কইরা নি মাইনষে ক্যাপ্টেনিং করে? ব্যাটা ডরাইল্লা ভাম। আমি নিজেও তো হের থেইক্কা ভালো ক্যাপ্টেনিং করতে পারুম। আমার ব্যাট লাগবো নাহাতের এই লাঠি দিয়াই আমি তার থেইক্কা বেশী রান করুম। আর এই বুইড়া শরীর লইয়া দৌড়াইলেও আমি তার থেইক্কা কম রান আঊট হমু।

আর ফিল্ডিং সাজানি? আমি তো ফিল্ডিং সাজাইয়াই ভাত খাই। আমার লগের পিচ্চি পোলাপানগো ফার্মগেটে কারে কোন মাথায় খাড়া করাইলে ভিক্ষা বেশী পাওন যাইবো
হেইডা আমি ঠিক করি। এডা খেলার ফিল্ডিং সাজানির থেইক্কা কম কিহেই ডরাইল্লা ভামের মতন ফিল্ডিং সাজাইলে আমার আর খাইয়া পইড়া বাচন লাগতো না। মাইনষে দয়া কইরা কে কখন ভিক্ষা দিবোহেই আশায় বইয়া থাকলে না খাইয়া এতদিনে আমার পেটকি লাইগা যাইতো। আমার ভিক্ষার ফিল্ডিং হইলো গিয়া এটাকিং। পোলাপান সেট কইরা এমুন মতন লাগাইয়া থুইহালার আমারে ভিক্ষা না দিয়া মদন তোমারা যাইবা কই?  আপনে যত কিপটা ব্যাডাই হন না ক্যা, আমি আমার কাম ঠিক-এ সাইরা লই। অই ডরাইল্লা ভামের বদলে আমি ক্যাপ্টেনিং করলে খবর কইরা দিতাম--- এমন পেচকি মারা ফিল্ডিং সাজাইতাম, মাঙ্গের চান্দু, আমারে উইকেটটা না দিয়া যাইতা কই!!

তয় খালি একখান কথা
আমারে ক্যাপ্টেন বানাইয়া দলে নিলে আমার কিন্তু অইসব ওয়ানডে ক্যাপ দিয়া পোসাইবো না। আমার লাগবো ওয়ানডে ওড়না। কইয়া দিলাম কিন্তু।

ছোটদের সহজ ক্রিকেট অধিনায়কত্ব শিক্ষা
১১ই মে, ২০০৭
অস্টিন, টেক্সাস
বাংলাক্রিকেট-ডট-কম ফোরামে প্রথম প্রকাশিত