৩১ মে, ২০১৩

আশরাফুলের স্পট ফিক্সিং


আশরাফুলের বিরুদ্ধে ক্রিকেট ম্যাচে স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগ এসেছে। তদন্ত চলছে। অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে পত্রিকা মারফত আশরাফুলের স্পট ফিক্সিং এর যা নমুনা দেখলাম, তাতে বোঝা যাচ্ছে নানা সময়ে ব্যাটিং ব্যর্থতায় আশরাফুল শুধু আমাদেরই আশা ভঙ্গের কারণ হয়নি, অসময়ে আউট হয়ে বাজিকরদেরও নানা ঝামেলায় ফেলেছে !

সময়কাল: জানুয়ারি ২০১০
ম্যাচ: চট্টগ্রামে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট
স্পট ফিক্সিং চুক্তি: লাঞ্চের পরের ৩ ওভারে মোট ৬ রান করতে হবে
ফলাফল: লাঞ্চের আগেই আশরাফুল আউট

সময়কাল: আগস্ট ২০১২
ম্যাচ: শ্রীলংকা প্রিমিয়ার লীগের রুহুনা রয়্যালস দলের টি-২০ ম্যাচ
স্পট ফিক্সিং চুক্তি: ৭ম, ৮ম ও ৯ম এই ৩ ওভার মিলিয়ে মোট ১৪ রান করতে হবে
ফলাফল: ৬ষ্ঠ ওভারেই আশরাফুল আউট

২ মে, ২০১৩

রানা প্লাজা ধ্বস এবং সাভারের ইউএনও


সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কবির হোসেন সরদারকে ওএসডি করা হয়েছে।

এই ভদ্রলোক সাভারে ভবন ধ্বসে পড়ার আগের দিন রানা প্লাজা ফাটল পরিদর্শন করে এসে ভবনটি প্রশাসনিকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেননি, বরং ভবন মালিকের সমর্থনে বলেছেন, "ভবনটি ভেঙে পড়ার কোন কারণ নেই"।. এমনকি ভবন ভেঙ্গে পড়ার পর তিনি নিজ হাতে রানার মুখ কাপড়ে ঢেকে দিয়ে তাকে মুরাদ জংয়ের গাড়িতে করে পালাতে সাহায্য করেন। পরবর্তীতে মিডিয়ার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইউএনও কবির হোসেন সরকার রানার জমির ব্যবসার পার্টনার এবং রানার সহায়তায় কবির সাহেব সাভারের শিল্প প্রতিষ্ঠানে জেনারেটর সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করেন। এতো কিছুর পরও কবির সাহেবকে ভবন ধ্বসের ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত কমিটির সদস্য বানানো হয়। পরে জনমতের চাপে সরকার তাকে তদন্ত কমিটি থেকে বাদ দেয়। এরপর আজ তাকে ওএসডি করা হল। 

ওএসডি হিসাবে কবির সাহেব এখন বিনা কাজে বেতন পাবেন। তিনি এখন অফিসে গিয়ে গল্প উপন্যাস পড়ে দিন কাটাবেন। ওরে কে আছিস, তোরা হুমায়ূন আজাদের সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে উপন্যাসটি কবির সাহেবের অফিসে পোঁছে দিয়ে আয়!

ওএসডি করা কোন শাস্তি নয়। সরকারের মতের সাথে ভিন্নমত হলে, বিদেশ বা প্রেষণ থেকে ফিরে এসে কোথাও পোস্টিং হওয়ার আগে, ঊর্ধ্বতন অধস্তনের দ্বন্দ্বে কখনো কারো প্রেস্টিজ বাঁচাতে, অথবা কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রাক্কালে এইরূপ ওএসডি করা হয়ে থাকে। তবে তার কি শাস্তি হয় তা দেখার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। আমরা চাই, শত শত মানুষের প্রাণহানি ও হাজারো শ্রমিকের হতাহতের ঘটনার দায়ে কবির হোসেন সরদারকে গ্রেফতার করা হোক।