৩১ মার্চ, ২০১৩

রুমী স্কোয়াডের অনশন-২


রুমী স্কোয়াড আজ লিখেছেঃ
অনশনস্থলে ফিরে আসলাম। আমি নিলয় বলছি। সাথে মানিক সূত্রধর, দীপ, শুভ্র, রায়হান সবাই ফিরে এসেছি। শুধু রাত তিনটায় নেয়া হয়েছিল সাগুফতাকে, সে এখনো হাসপাতালে আছে। যত দিন যাচ্ছে, আমাদের কথা বলার বিষয় সীমিত হয়ে আসছে। সবাই জানতে চাচ্ছেন, আমরা কবে এর শেষ দেখবো? এই আত্মঘাতী কর্মসূচী আর কতদিন চলবেআমাদের উত্তর খুব সহজ। আমরা এর পরিণতি জেনেই নেমেছি। আমাদের পথ সুনির্দিষ্ট । হয় মুক্তি, অথবা মৃত্যু। আপোষ আর দালালীর রাস্তা আমরা চিনি না। আমরা লক্ষ্যে অটল, অবিচল আছি। আমাদের ১৭ বছরের দীপ তার হাসপাতালের বেডে শুয়ে তার মাকে বলেছে, "মা, আমার কিছু হয়নি। আমি কিছুই খাবো না। আমাদের এখনো অনেক পথ বাকি।" আমরা প্রতিকী অনশন চাই না। ঐ সুশীল ভন্ডামির দিন শেষ। রুমী স্কোয়াড একটা কথা কখনো ভুলবে না। "স্বাধীন দেশে কোন জীবিত গেরিলার প্রয়োজন নেই।

সরকারের কাছে ওরা নিজের জন্য চাকরি চায় না, পরিবারের জন্য ভাতা-ভর্তুকি চায় না...শুধুমাত্র দেশের সবার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধের সুনির্দিষ্ট একটি রূপরেখা চায়। ওদের সামনে এই রূপরেখা তুলে ধরুন। না হলে এরা মরে গিয়েই প্রমাণ করবে শাহবাগ এখনো মরে নাই

২৯ মার্চ, ২০১৩

রুমী ভাই


শহীদ রুমীকে ইদানীং দেখি অনেকে রুমী ভাই বলে ডাকছে। ডাকলে কোন সমস্যা নাই, তবে কানে কেমন জানি খটকা লাগে। পরিচিত, সমসাময়িক মানুষদের আমাদের সমাজে ভাই বলে ডাকার রেওয়াজ আছে। ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের এভাবে ভাই বলে ডাকতে আগে শুনি নাই। আমি বঙ্গবন্ধুকে মুজিব ভাই, তাজউদ্দীন আহমেদকে তাজ ভাই, বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরকে জাহাঙ্গীর ভাই কিংবা হযরত শাহজালাল (র:) কে শাহজালাল ভাই ডাকলে যেমন একটু অদ্ভুত শোনাবে, শহীদ রুমীকে রুমী ভাই ডাকলে ঠিক তেমনি শোনায়।



২৭ মার্চ, ২০১৩

রুমী স্কোয়াডের অনশন-১



গুটি কতক মানুষ মিলে এখনই
 ছোট আকারে আমরণ অনশন হবে, নাকি সময় মতো সবাই মিলে বিশাল আকারে আমরণ অনশন হবে...সেটা নিয়ে দেখি বাজার খুব গরম। অনশনের টাইমিংটা ঠিক হলো কিনা, সেটা ভাবার মতো প্রসঙ্গ। তবে অনশন ছোট আকারে হবে না বড় আকারে হবে কিংবা গুটিকতক মানুষ মিলে এমন কর্মসূচী নেয়া ভালো হলো কিনা ......এই প্রসঙ্গ বাল ছালের প্রসঙ্গ। অনশন ব্যাপারটাই প্রতীকী...কিছু মানুষ জীবন বাজি রেখে দাবী আদায়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আর বাকিরা সেটাকে সামনে রেখে আন্দোলন চালিয়ে যায়। হাঙ্গার স্ট্রাইকের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় প্রকৃত অর্থে যে আমরণ অনশন কর্মসূচী তা সব সময়ই ছোট আকারে গুটিকতক মানুষ মিলে পালন করেছে। বড় আকারে শত বা হাজারো মানুষের সম্মিলিত আমরণ অনশন কর্মসূচী শেষমেশ একবেলা আমরণ অনশন কর্মসূচী তে পরিণত হয়।

১৭ মার্চ, ২০১৩

প্রধানমন্ত্রীর জন্য হরতাল শিথিল



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবেন বলেই পটুয়াখালীর দশমিনায় হরতাল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি দলীয় দৃস্টিভঙ্গির বাইরে এসে স্থানীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার এই সিদ্ধান্ত অন্ততঃ আমাদের দেশের জন্য অভিনব।

১৫ মার্চ, ২০১৩

পাল্টা মঞ্চ নির্মাণ করবেন খালেদা জিয়া



শাহবাগের বিরুদ্ধে পাল্টা মঞ্চ নির্মাণ করবেন খালেদা জিয়া।

শাহবাগ তো অলরেডি দখল। ঢাকার কোথায় মঞ্চ করবেন? উনার মঞ্চ স্বামীবাগে হলে খুব ভালো হয়। শাহবাগের আন্দোলনরত তরুণদের উনারা যেমন শাহবাগী বলেন, তার বিপরীতে উনারে আমরা তাহলে স্বামীবাগী বলতে পারতাম। আফটার অল, স্বামীর নামে রাজনীতি আর স্বামীবাগী শব্দ দুইটা একসাথে ভালো মানায়।

শাহবাগ বা স্বামীবাগ ছাড়াও ঢাকাতে যেহেতু আরও অনেক বাগ আছে, তাই মমিনবাগী ও ইসলামবাগী (ধর্ম বেচার স্মরণে), মালিবাগী (কাদের মোল্লা স্মরণে), আমিনবাগী (আমিনী স্মরণে), মীরবাগী (মীরজাফর স্মরণে), গোপীবাগী, লালবাগী ও চামেলীবাগী (খালেদা জিয়া স্মরণে), টোলারবাগী ও বড়বাগী (তারেক জিয়া স্মরণে) এবং তল্লাবাগী ও গুলবাগী (মিথ্যাচার ও লেজুড়বৃত্তি স্মরণে) নাম গুলোও তেমন খারাপ হবে না।


১২ মার্চ, ২০১৩

বাংলাদেশের ৬৩৮



শ্রীলংকার গলে
তে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের এক বিশাল মাইল ফলক। 

দ্বিতীয় দিনে চা বিরতির আগ পর্যন্ত ব্যাট করে শ্রীলংকা ৫৭০/৪ রানে ডিক্লেয়ার করে দেয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাট শুরু করে। ম্যাচের তৃতীয় দিনে ১৮১ বল খেলে আশরাফুল তার সেঞ্চুরি পূর্ণ করে। চার বছর পর আবারো মোহাম্মদ আশরাফুলের টেস্ট সেঞ্চুরি। ঈদ মোবারক!  অথচ এই আশরাফুল ২৫জনের প্রাথমিক দলেও ছিল না। শেষ মুহূর্তে শাহরিয়ার নাসিফের হাতের তালু ব্লেড দিয়ে কেটে যাওয়ায় আশরাফুল দলে সুযোগ পায়। শালা...রক্ত দেয়া ছাড়া বাংলাদেশে আমরা কিছুই পাইনা।  ভাষায় রক্ত, স্বাধীনতায় রক্ত, গণতন্ত্রে রক্ত......সামান্য ক্রিকেট খেলায় এই যে আশরাফুলের অসাধারণ সেঞ্চুরি, সেটাও শাহরিয়ার নাফিসের হাতচেরা রক্তের বিনিময়ে পাওয়া!

তৃতীয় দিনের চা বিরতির আগে আগে আশরাফুল তার ইনিংসের ৩০০তম বলটি খেলে। টেস্টে ৩০০ বলের টেস্ট ইনিংস খেলার কৃতিত্ব ছিল মাত্র ৩ জন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানেরঃ আমিনুল ইসলাম বুলবুল (৩৮০ বল, ২০০০ সাল), জাভেদ ওমর (৩৫৭ বল, ২০০৩ সাল) ও নাফিস ইকবালের (৩৫৫ বল, ২০০৫ সাল)...আশরাফুল চতুর্থ বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসাবে এই দলে নাম লিখালো।

তৃতীয় দিনে চা বিরতির পরে আশরাফুল ১৫৯ রান পূর্ণ করে। টেস্টে কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড হল। এদিন সকালেও বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ টেস্ট স্কোরের রেকর্ড ছিল ১৫৮... দীর্ঘ ৯ বছরের পুরাতন রেকর্ড। সেটা আশরাফুলের। এদিন সকালেও বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের টেস্ট স্কোরের রেকর্ড ছিল ১২৯.... দীর্ঘ ৬ বছরের পুরাতন রেকর্ড। সেটাও আশরাফুলের। দেশের ক্রিকেটে কত নতুন তারকা পেলাম আমরা। তবু ১২৯ কিংবা ১৫৮ কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। ১২৯ নিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর আর ১৫৮ নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর প্রতীক্ষায় থেকেছে বাংলাদেশ। শুধু তুমি আসবে বলে!

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে আশরাফুল ১৮৯ ও মুশফিক ১৫২ রানে অপরাজিত ছিল। চতুর্থ দিনে আমরা প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসাবে প্রথম ডবল সেঞ্চুরিয়ান হিসাবে আশরাফুলকে বরণ করে নেয়ার জন্য প্রতীক্ষায় ছিলাম। কিন্তু আশরাফুল আউট হয়ে গেলো ১৯০ রানে। কি মর্মান্তিক! তবে ট্র্যাজেডিই যদি না থাকে
, তাহলে তা আর কি বালের মহাকাব্য? এক মহাকাব্যিক ইনিংসের জন্য আশরাফুলকে অভিনন্দন।

চতুর্থ দিনে মুশফিকের ডবল সেঞ্চুরিসহ ৬৩৮ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক ইনিংসটি ১৯৬ ওভারের। আজ তেরো বছর ধরে বাংলাদেশ টেস্ট খেলছে...কত দল কত বার দিনমান বাংলাদেশকে ফিল্ডিং-এ দাঁড় করিয়ে রেখে রানের পাহাড়ে চাপা দিয়েছে। কিন্তু কেবলমাত্র একবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কেউই আমাদের পুরো দুই দিন অর্থাৎ ১৮০ ওভারের বেশী ধরে ফিল্ডিং-এ ফেলে রাখেনি। অথচ সেই আমরাই কিনা আজ সুযোগ পেয়ে শ্রীলঙ্কাকে প্রায় ১৮০ ওভার ধরে ফিল্ডিং-এ দৌড়া দৌড়ি করিয়েছি। কি অমানবিক! সত্যিই, শোষিতের হাতে রাজদণ্ড বড়ই নির্মম!



১ মার্চ, ২০১৩

পাকিস্তানের জামাতের হুমকি



১৯৭১ সালে পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় লড়াই করার কারনে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীসহ আরো অনেকে আজ বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বিচারের সম্মুখীন। একাত্তর সালের এই পেয়ারা দোস্তদের রক্ষার করার জন্য অবিলম্বে পাকিস্তান সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার ডাক দিয়েছে জামাতে ইসলামী পাকিস্তান। এছাড়া এই বিচার বন্ধ না করলে বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে বলে ওয়ার্নিং দিয়ে দিয়েছে সাইদী নিজামীর পাকি-আব্বাজানেরা।

রাজাকারদের জন্য দরদ উথলে উথলে পড়েছে পাকিস্তানীদের।
জেমসের গান মনে পড়ে যায়......সিনায় সিনায় লাগে টান, সিনায় সিনায়