খবরঃ জাতীয় সংগীতকে মোবাইল ফোনে রিং টোন হিসেবে এবং তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। (প্রথম আলো)
বুঝলাম আইনের ভিত্তিতেই এই আদেশ।
কিন্তু রিট মামলা যে দায়ের করলো তার প্রাণে কি গান নাই? সঙ্গীত ভালোবাসার জিনিস। দেশপ্রেমও ভালোবাসার জিনিস। ভালোবেসে তা
আমি আমার ফোনে ব্যবহার করলে সমস্যা কি? কিন্তু সে
রকম আইনী শ্রদ্ধা দেখাতে হলে তো ফেসবুকের অনেকের প্রোফাইল ফটোতে রাখা জাতীয়
পতাকার ছবিও নিষিদ্ধ করে দিতে হয়। সম্ভ্রম ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে দুরত্ব বজায় রেখে
চলা আর ভালোবেসে কাছে টেনে নেয়ার মধ্যে একটিকে বেছে নিতে বললে আমি ভালোবেসে কাছেই
টেনে নিতে চাইবো। পাড়ার মুরব্বী খালাম্মাদের আমি সন্মান দেখিয়ে শ্রদ্ধাবনত
চিত্তে দুরত্ব বজায় রেখে চলি। আর পাশের বাড়ীর সুন্দরী প্রেয়সীকে কাছে টেনে
নিয়ে চুমু খাই। তুমি খাল্লামা হতে চাও নাকি প্রেয়সী?
খবরঃ দেশের সর্বত্র জামায়াতের নতুন
সদস্য সংগ্রহ কমে গেছে, শুধু পাবনায় কমেনি। (প্রথম আলো)
হেমায়েতপুর গারদ তো পাবনায়। তাইলে
আর সদস্য সংগ্রহ কমবে কেমনে? হেমায়েতপুরের গারদে নিশ্চয়ই এবার
তুমুল মাত্রায় জামায়াতের সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলেছে। দৃশ্যকল্পটা হতে পারে এরকমঃ
জামায়াত কর্মীঃ ও মতি মিয়া, তুমি কি জামায়াতের সদস্য হইতে চাও?
মতি পাগলাঃ অবশ্যই হইতে চাই। গারদ থেইকা বার হইয়া আমি ইনশাল্লাহ মাওলানা মনি সিং-এর নেতৃত্বে দেশে ইসলামী বিপ্লব করবো।
জামায়াত কর্মীঃ আলহাদুলিল্লাহ, তুমি হইলা সদস্য নম্বর ৪২০।
জামায়াত কর্মীঃ ও মতি মিয়া, তুমি কি জামায়াতের সদস্য হইতে চাও?
মতি পাগলাঃ অবশ্যই হইতে চাই। গারদ থেইকা বার হইয়া আমি ইনশাল্লাহ মাওলানা মনি সিং-এর নেতৃত্বে দেশে ইসলামী বিপ্লব করবো।
জামায়াত কর্মীঃ আলহাদুলিল্লাহ, তুমি হইলা সদস্য নম্বর ৪২০।
খবরঃ জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ে একই
বিভাগের জনৈকা শিক্ষিকাকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপককে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি ও বিভাগীয় সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। (প্রথম
আলো)
সহযোগী অধ্যাপক সাহেব বিভাগীয় সভাপতি হইয়া যাবার পর আর নিশ্চয়ই ক্লাস নিতে
পারতেছিলেন না। ছাত্রীর অভাবে তাই ধরছিলেন শিক্ষিকারে। এখন জুনিয়র সহকারী অধ্যাপক
হিসাবে জুনিয়র ক্লাসের কচি কচি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষকতা করবেন। ধর্ষকের জন্য তো
এটা প্রমোশন! আসল প্রশ্ন হলোঃ এই অধ্যাপক মিয়ার চাকরি টিকলো কেমনে? নাকি ১০০ ধর্ষণের মানিক মিয়ার সেঞ্চুরী রেকর্ড দেখার পর জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের
কাছে
উনার যৌন নিপীড়ন এখন “ও কিছু নয়, সবে তো মাত্র
রানের খাতা খুললো”!
খবরঃ নিঊইয়র্কের এক বাংলাদেশী সম্মেলনে সাবেক
যাযাদি সম্পাদক শফিক রেহমান বলেছেন, “বাংলাদেশের
ডিবি পুলিশ পুলিশী হেফাজতে আমার গোপনাঙ্গ দেখতে চেয়েছিল। পুরুষ পুলিশ পুরুষের
গোপনাঙ্গ দেখে কী আনন্দ পায়?” (সাপ্তাহিক
আজকাল)
বড়ই যৌক্তিক প্রশ্ন। স্মৃতিভ্রষ্ট
হবার কারনে হয়তো শফিক রেহমানের আজ এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। কিন্তু এর উত্তর
বোধহয় আমি জানি। বছর পনের আগের চালু থাকা এক গল্পের কথা মনে করা দরকার। গল্পটা
এমনঃ এক আরব শেখ তাঁর বিলাস বহুল প্রমোদ ভবনে সুন্দরী বিলেতি যুবতীকে নিয়ে
মৌজ়মাস্তিতে ব্যস্ত। মৌজ-মাস্তির এক একান্ত ঘনিষ্ট পর্যায়ে আরব শেখের গোপনাঙ্গের
বিশাল আকৃতি দেখে বিমোহি্ত বিলেতি ললনা বিস্মিত কন্ঠে বললো, “ওয়াও”।আরব শেখ তখন যুবতীর আরবী
গ্রামাটিকেল মিসটেক সংশোধন করে দিয়ে বললেন, “ আকৃতিতে এটা ওয়াও নয়, এটা আলিফ”। যতদুর মনে পড়ে, এই গল্প বাজারে এনেছিলেন শফিক রেহমান নিজেই তার
যাযাদি কলামে। শফিক সাহেব হয়তো ভুলে গেছেন, কিন্তু ডিবি
পুলিশ এখনো ভুলনি। তারা হয়তো একটু চেক করে দেখতে চেয়েছিল শফিক সাহেবেরটা ওয়াও
না আলিফ।
সঙবাদ ১
৬ই আগস্ট, ২০১০
নক্সভিল, টেনেসি
সচলায়তন ব্লগে প্রথম প্রকাশিত
সচলায়তন ব্লগে প্রথম প্রকাশিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন