১২ জানু, ২০১৪

প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমানের পদাঘাত

১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার কথা। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রপতি পদে আছেন বিএনপি সরকারের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কথিত রাজাকার আব্দুর রহমান বিশ্বাস। একদিন রাতে খালেদা জিয়া টেলিফোন করেন হাবিবুর রহমানকে। বেগম জিয়া বললেন,


- আপনি রাষ্ট্রপতির কথা শোনেন না কেন?

- রাষ্ট্রপতির কথা আমি শুনব না কেন! তার কথা সব সময় শুনি। তার অনুরোধও আমরা বিবেচনা করে দেখি।

- আপনি যদি এমন করেন তাহলে পরে আমরা আপনাকে ঘরে থাকতে দেব না, দেশেও থাকতে দেব না।

বেগম জিয়ার এমন হঠাৎ মেজাজি কণ্ঠ শুনে সুরসিক হাবিবুর রহমান হেসে ফেলে বললেন, “আপনি কী সব অলক্ষুণে কথা বলছেন!”

এভাবেই খালেদা জিয়া নানা সময়ে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অপ্রসন্ন হয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। বেগম জিয়ার যে একটি অন্যতম অপছন্দের কাজ মুহম্মদ হাবিবুর রহমান করেছিলেন তা হল গন-আদালত আয়োজনের অপরাধে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সহ একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে বিএনপি সরকারের দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া। ১৯৯২ সাল থেকে চলতে থাকা এই রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা প্রত্যাহার করে নেয়াকে বিএনপি তাদের উপর “প্রধান উপদেষ্টার পদাঘাত” নামে আখ্যায়িত করেছিলো।

তথ্যসূত্র: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়ভার, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ২০১০

কোন মন্তব্য নেই: